বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই জারি হওয়ার কথা চলতি মাসের দামের প্রজ্ঞাপন। তবে জ্বালানি তেলের দাম কত কমবে–এ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন গ্রাহকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রজ্ঞাপন জারির পরই জানা যাবে, ঠিক কত টাকা কমবে পেট্রোল-অকটেনের দাম।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা যায়, অনেক গণমাধ্যমেই খবর বেরিয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে তারা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে শিগগিরই এটি জারি করা হবে। এখন থেকে প্রতিমাসেই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে।
বিপিসির আরেকটি সূত্র জানায়, এ দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ১৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। তবে দাম নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পরই।
আর জ্বালানি বিভাগের একটি সূত্রে জানা যায়, পেট্রোল-অকটেনের দাম ১১৫ টাকা ও ডিজেলের দাম ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। প্রাথমিকভাবে চলতি মার্চ থেকেই এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’র প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যেসব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে থাকে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
তবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, সবশেষ ২০২২ সালের আগস্টে নির্ধারণ হওয়া দাম অনুযায়ী ডিজেল-কেরোসিনে লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ আর অকটেনে ১৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এরপর বিশ্ববাজারে ব্যাপক হারে কমলেও দেশে আর সমন্বয় হয়নি জ্বালানি তেলের দাম।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :