প্রথম রোজার আগেই সরকার খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। তবে বাজারে এই দামে খেজুর বিক্রি করছেন না কোনো ব্যবসায়ী।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুরই নেই। মাঝারি মানের খেজুর কিনতেও গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুর হিসেবে পরিচিত বাংলা খেজুর দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে কেন বিক্রি করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশ বিক্রেতা বলছেন, দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। কয়েকজন বিক্রেতা আবার সরকারের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, বেশি দামে খেজুর কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদেরকে।
রাজধানী ঢাকার বাজারে উন্নতমানের প্রতি কেজি খেজুর অন্তত এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি। সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজোয়া এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :