ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে বড় ধরনের সংযোজন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ করে দু-এক মাসের মধ্যে নিজস্ব পণ্য বিক্রির দোকান দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির কার্যক্রমকে এখন স্থায়ী রূপ দেয়া হবে। সে লক্ষ্যে টিসিবির নিজস্ব দোকান স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিজস্ব দোকান থাকলে ঠিক সময়ে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া সহজ হবে।
জেলা পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূলত সব পণ্য না আসা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকরা পণ্য বিক্রি শুরু করেন না। এজন্য অনেক পণ্য আসলেও কয়েকটি পণ্যের জন্য বিক্রি কার্যক্রমে দেরি হয়। টিসিবির নিজস্ব দোকান থাকলে এটি নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।
বিশ্ববাজারে সরবরাহ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় যে জাহাজ বন্দরে ৩০ দিনের মধ্যে আসার কথা, সেটি আসতে ৬০ দিন পর্যন্ত লেগে যায়। এতে করে সময়মতো পণ্য পাওয়া যায় না। তবে অযাচিত কোনো কারণে পণ্য বিক্রিতে দেরি হলে সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে।
টিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কোনো বাফার স্টক না থাকার কারণে পণ্য গুদামজাত করা সম্ভব হয় না। পণ্য হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে দিতে হবে। কিছু পণ্য যাতে মজুত রাখা যায় সেজন্য টিসিবিতে বাফার স্টক তৈরি করা হবে। এছাড়া গুদাম ও লোকবলের পরিমাণও বাড়ানো হবে।
টিসিবি এবার যেভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ এনেছে, আমদানির এ ধারা সারা বছর অব্যাহত থাকবে। শুধু ভারত না, রাশিয়ার সঙ্গে গম চুক্তির আওতায় কম আনা হবে এবং ব্রাজিল থেকে সয়াবিন তেল ও চিনি আমদানি করা হবে। মিয়ানমারে বর্তমানে অস্থিরতা থাকলেও কীভাবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে দেশটির সঙ্গে আমদানি সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায়, সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
টিসিবি এক কোটি লোককে পণ্য দিয়েছে- আগামীতে এ তালিকা হালনাগাদ করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় করা এ তালিকা চলতি অর্থবছরেই হালনাগাদ করা হবে। তালিকায় থাকা অনেকেই মারা গেছেন বা নিয়মিত ক্রেতা না। এসব বিষয় লক্ষ্য রেখে টিসিবি নতুন তালিকা করবে।
টিসিবির লক্ষ্য হতদরিদ্রের সাহায্য করা এবং ভর্তুকি মূল্য পণ্য বিক্রি করা, যাতে করে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে; সে লক্ষ্যে টিসিবি কাজ করছে। টিসিবির মাধ্যমে আমদানি বাজার সম্প্রসারিত করা হবে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :