আমেরিকার পর প্রথমবারের মত কোরিয়ায় যাচ্ছে চিংড়ির সামুচা, টেম্পুরা, স্প্রিং রোল, চিপসসহ নানা প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য। রপ্তানি আয় বাড়াতে এসব পণ্য বিক্রির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছ মৎস্য অধিদপ্তর।
গত বছর খুলনা থেকে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয় চিংড়ির তৈরি সামুচা, টেম্পুরা, স্প্রিং রোল, বল, পেস্ট্রিসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যপণ্য। এতে আয় হয় প্রায় ২৩ হাজার ডলার। রোজেমকো ফুডস লিমিটেড নামের কোম্পানি স্বল্প পরিসরে রপ্তানি করে এই পণ্য। এ বছর ৫৩ হাজার ১৬০ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে আমেরিকায়। এ ছাড়াও অর্ডার রয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭০৬ ডলারের চিংড়ির প্রক্রিয়াজাতকরণ নানা পণ্য। চিংড়ির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যও রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, রপ্তানির জন্য তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খাবার মেরিনেট করে রাখা হয়। প্রক্রিয়াজাতকরণে খাবারে ব্যবহৃত মসলার মানও নিয়ন্ত্রণ করা হয় সঠিকভাবে।
দায়িত্বশীল আরেক কর্মচারী বলেন, এখানে তৈরি মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে।
রোজেমকো ফুডস্ লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘বর্তমানে রোজেমকো ফুডসে দেড় কোটি টাকা সমমূল্যের অর্ডার আছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে এ বছর ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের অর্ডার ছাড়িয়ে যেতে পারব আমরা।’
খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর শুধু আমেরিকাই নয়, কোরিয়াতেও রপ্তানি হবে। রপ্তানি আয় বাড়াতে মূল্য সংযোজিত পণ্যের বিকল্প নেই।
গুণগত মান কমে যাওয়া ও দাম বাড়ায় গত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে কমেছে চিংড়ি রপ্তানি।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :