সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেয়েছি বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, অন্য একটি দেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আগ্রহ থাকতে পারে, কিন্তু এটা আমাদের নিজস্ব পণ্য। এটা আমাদেরই থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিসে একাডেমিতে ভৌগোলিক নির্দেশিকা (জিআই) পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন,যেসব পণ্য জিআই সনদ পেয়েছে এবং অপেক্ষমাণ আছে পণ্যগুলোর কয়েকটি শত বছর, কয়েকটির হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। তাই ইচ্ছে করলেই নকল করা যাবে না। যুগের পর যুগে এসব পণ্যের ব্যবহার করে গেছি আমরা। এ সময় তিনি ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার উপর গুরুত্ব দেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অনেক পণ্যে অনেক স্বাবলম্বী। যেমন একসময় কোরবানির পশু পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন দেশের পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত থাকে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ভূমিকা এটা সম্ভব হয়েছে। তার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সামনে আরো এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জিআই পণ্য প্রচার করতে জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানান তিনি। এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টরকে ধন্যবাদ জানান।
পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও টেডমার্কস অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। আরও উপস্থিত ছিলেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস, পেটেন্ট শিল্প নকশা ও টেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনিম হাসান। অনুষ্ঠানে ১৪টি পণ্যের সনদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ৩১টি পণ্যের জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :