তীব্র দাবদাহে টানা লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর চালিয়ে কারখানা চালু রাখতে কিনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ডিজেল। আবার ভোল্টেজের ওঠানামায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টাকে ধরা হয় দেশের গার্মেন্টস সেক্টরের মূল সময়। এর মাঝে সন্ধ্যা ৬টা কিংবা রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ওভারটাইম হিসাবে শ্রমিকরা কাজ করছেন। কিন্তু এই মূল ওয়ার্কিং আওয়ারের অর্ধেকের বেশি সময় কারখানায় বিদ্যুৎ না থাকায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে বলে অভিযোগ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু জটিলতা। বিশেষ করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠা-নামায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ায় কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বিদ্যুৎ সংকটে ছোট কারখানাগুলোকে প্রতিদিন ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকার এবং বড় কারখানাগুলোকে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ডিজেল কিনতে হচ্ছে। দেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গার্মেন্টস কারখানায় এখাতেই প্রতিদিন বাড়তি খরচ হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা।
টানা এই লোডশেডিংয়ের চতুর্মুখী সংকট থেকে উত্তরণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিজিএমই নেত্রীবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :