নিরাপত্তা ত্রুটি বুঝতে পেরেই, বোয়িং কোম্পানি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের উৎপাদন কমিয়েছে বলে ধারণা করছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। এই ত্রুটি প্রমাণিত হলে, বিশ্বজুড়ে ১১ শর বেশি ড্রিমলাইনার না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এতে ব্যবসায় বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির সাবেক এক প্রকৌশলী ড্রিমলাইনার সিরিজের কাঠামোগত ত্রুটি নিয়ে, তথ্য প্রকাশ করেন। পরে এই সিরিজের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখন এই বিষয়টিই আলোচিত হচ্ছে বেশি।
এ নিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, নিজেদের উড়োজাহাজে ত্রুটির বিষয়টি বুঝতে পেরেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোয়িং। এ কারণেই এখন উড়োজাহাজ তৈরির প্রক্রিয়ায় ধীরগতিতে চলছে।
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের সাবেক পরিচালক কাজী ওয়াহিদুল আলমকে বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দ্রুত উৎপাদন করতে গিয়ে মানে ছাড় দেওয়া হয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি দেখে তো তাই বোঝা যাচ্ছে।
বহরে থাকা ছয়টি ড্রিমলাইনার দিয়ে, আমেরিকা-কানাডাসহ কয়েকটি লম্বা রুট পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান। এগুলোসহ বিশ্বজুড়ে চলছে এই সিরিজের ১১ শর বেশি উড়োজাহাজ। ত্রুটির কারণে এসব বসিয়ে দিতে হলে, আকাশপথের ব্যবসায় বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা।
কাজী ওয়াহিদুল আলম আরও বলেন, এতগুলো এয়ারক্রাফট যদি গ্রাউন্ডেড করতে হয়, বিশ্বজুড়ে একটা বিপর্যয় দেখা দেবে। এ ছাড়া এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোও অনেক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এর আগেও, সেভেন-থ্রি-সেভেন-ম্যাক্স উড়োজাহাজে ত্রুটি নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। এর জেরে প্রায় চার শ বিমান না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বোয়িং। সবশেষ গেল শুক্রবার আমেরিকার একটি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পর, বোয়িং সেভেন-সিক্স-সেভেন উড়োজাহাজের জরুরি বহির্গমন স্লাইডার খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :