বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে এখনো ঘাটতি আছে। তাই, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিনিময় হার আরও নমনীয় করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সংস্থা- আইএমএফ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনীতির আঞ্চলিক পূর্বাভাস প্রকাশ উপলক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে আইএমএফ। এসময়, টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য রাজস্বনীতির সংস্কারের সুপারিশ করে সংস্থাটি।
ভার্চুয়াল ওই সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানান, বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে এখনো ঘাটতি রয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পরামর্শ।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু একই সময়ে ঘাটতি ৮৩০ ডলার। আইএমএফ বলছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় চার গুণ বেশি।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, ‘মুদ্রানীতি কাঠামো ও রাজস্ব আদায়ে উন্নতি হয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছিল, তা হলো চলতি হিসাব নিয়ে। মুদ্রা বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করলে বাংলাদেশ আর্থিক হিসাবে ইতিবাচক ফল পাবে।’
এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে আইএফএম। এ হার গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা কম।
এ বিষয়ে কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন আরও বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ। দেশটি সক্রিয়ভাবে এ বিষয়ে আইএমএফের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে এবং আইএমএফ সেই সহায়তা করছেও। তাই সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে এখন কিছুটা ভালো করছে বাংলাদেশ।’
এর আগে আইএমএফ আরও জানায়, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশে নেট রিজার্ভ কম। রিজার্ভ বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে সংস্থাটি। আগামী ৮ মে এর মধ্যে তা জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলমান। দুই কিস্তির অর্থও ইতিমধ্যে ছাড় করছে আইএমএফ। তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা আগামী মাসে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :