AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দেশে হু হু করে ঢুকছে ভারতের অবৈধ চিনি, সংকটে দেশের উৎপাদকরা


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০১:৫১ পিএম, ২ মে, ২০২৪
দেশে হু হু করে ঢুকছে ভারতের অবৈধ চিনি, সংকটে দেশের উৎপাদকরা

কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি আসা। নিম্ন মানের ভারতীয় এই চিনি বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডের মোড়কে। ফলে দেশীয় চিনির বিক্রি নেমে এসেছে দিনে ৬ হাজার থেকে এক হাজার টনে। এ কারণে প্রতিদিন দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। আর সরকারও দিনে অন্তত ২০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ভারতের শ্রী রেণুকা সুগার মিলের উৎপাদিত চিনি সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। শুধু শ্রী রেনুকা নয়, ভারতের অনেক মিলের অবৈধ চিনিতে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব হওয়ার ভয়ঙ্কর প্রভাব এবার এনবিআর -এর তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

চলতি বছরের চার মাসে দেশে অপরিশোধিত চিনি আমদানি প্রায় দুই লাখ টন কমে গেছে। অবস্থা এমনই যে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. আবুল হাসেম বলছেন, তার ৪০ বছরের ব্যবসার জীবনে দেশীয় চিনির বাজার কখনোই এমন দেখেননি।

সারা দেশেই নিন্মমানের ভারতীয় চিনি, বস্তা বদলে অবৈধভাবে মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ, সিটি গ্রুপের তীর ও আব্দুল মোনেমের ইগলু মার্কা লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাতের চিনি পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ডিজিএম তসলিম শাহরিয়ার বলেন, মেঘনা গ্রুপের একটা ভালো ব্রান্ডভ্যালু আছে। এখানে আমাদের ব্যাগকে নকল করে ইন্ডিয়ান চিনি ভরে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের ব্রান্ডের ক্ষতি করছে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ সময়ে মেঘনা গ্রুপের আড়াই থেকে তিন হাজার টন বিক্রি হয়। কিন্তু এখন তা কমে ৫০০ টনের ঘরে চলে এসেছে।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করে আমাদের দেশীয় রিফাইনারিগুলো চিনি উৎপাদন করতে পারছে না। আমদানি করছে। এছাড়া ভারত থেকে যে চিনি আসছে, সেগুলোর মান নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই।

তারা জানান, প্রতিদিন দেশীয় চিনি শিল্পে উৎপাদিত ৭০ কোটি টাকার চিনি অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। সরকারও দিনে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতীয় নিন্মমানের চিনি কিনে ভোক্তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।

সরকারি চারটি চিনিকলের এমডির দায়িত্ব পালন করে আসা সরকারি চিনিকলের সাবেক এমডি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আশঙ্কা করছেন চোরাচালান যেভাবে এক সময় সরকারি চিনি কলগুলোকে রুগ্ন করেছে, এবার বেসরকারি শিল্পকেও ধ্বংস করবে। সংশ্লিষ্টদের প্রতি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার তাগাদা তার।

১ জানুয়ারি থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত অপরিশোধিত চিনি আমদানি গত বছর এই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ কমে যাওয়ার পর সরকারের টনক না নড়লে দেশের অর্থনীতিকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মনে করেন মোজাম্মেল হক।


একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা

Link copied!