প্রতি কেজি সোনালী বা পাকিস্তানি মুরগির দাম ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে। অথচ ঈদের আগেও এর দাম উঠেছিল ৩২০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে মুরগি মারা যাওয়ায় সরবরাহে টান পড়েছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ এবং আলুর দামও বাড়তি। এদিকে অন্যান্য সবজির বাজারেও নেই স্বস্তি।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন গিয়াসউদ্দিন। তিনি সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির একজন। দু’চার বছর আগেও খেয়ে-পরে ভালোই দিনকাল কাটছিল তার। কিন্তু এখন তিন সদস্যের পরিবার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, সবকিছুর দাম অনেক বেশি। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই কষ্টকর। কোনো সেভিংস নেই। যা আয় সেটাই খরচ হচ্ছে। বরং মাস শেষে আরও ঋণ হতে হয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী আচরণে এমন গল্পের মানুষ অসংখ্য। যারা নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে বাজারের ফর্দ ছোট করছেন। কিন্তু তারপরও হিসাব মিলছে না।
এ ব্যাপারে একজন বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত ঢাকায় রয়েছি, তাদের এত বেশি বাসা ভাড়া দিয়ে মাস শেষে বাজারের সমন্বয় করা খুবই কষ্টকর। এরপরও করতে হয় বেঁচে থাকার জন্য।
প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন অজুহাতে বাড়ছে পণ্যের দাম। রমজানের আগে ৩২০ টাকায় বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগি বর্তমানে কিনতে হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বিক্রেতাদের যুক্তি বাজারে সরবরাহ কমেছে। এদিকে স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও।
এক ব্যবসায়ী বলেন, রমজানের পর যেসব মুরগি পাঠানো হয়েছিল, সেসব ছোট হওয়ায় এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য বিক্রি করে শেষ করা হয়েছে। এখন গরম, মুরগি নেই।
এদিকে ডাল-আলু, মসলার দামে কাহিল সাধারণ মানুষ। পেঁয়াজের দামও ছুঁয়েছে সত্তরের ঘর। আর রসুনের কেজি ২২৫ টাকা।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :