রোবাস্তা কফির দাম ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন (আইসিও)। মূলত এসপ্রেসো মিশ্রণ ও পানীয়তে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপদানের তীব্র সরবরাহ সংকটের কারণেই এই পণ্যটির দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
দ্য বিজনেস টাইমস জানিয়েছে, গত ৩ মে মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইসিও। সেখানে বলা হয়েছে, আইসিওর কফির পাইকারী দাম এই এপ্রিলে ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা ১৯৭৯ সালের পর সর্বোচ্চ।
আইসিওর মাসিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রোবাস্তা কফি উৎপাদিত হয় ভিয়েতনামে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে কফি উৎপাদন কমে গেছে। তাই বিশ্ববাজারে এই কফির সরবরাহও হ্রাস পেয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন, তীব্র খরা ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জলাধার ক্রমশ কমে আসছে ভিয়েতনামের কৃষিপ্রধান এলাকায়। ফলে সেখানে সেচের পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এসব কারণে চলতি বছরে ভিয়েতনামে কফি উৎপাদন আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইসিও।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলেছে, চলতি মাস থেকে কফির সরবরাহ–সংকটের সমাধান করার চেষ্টা করছে কফি ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে ‘অ্যারবিকা বিন’ সরবরাহ করার চেষ্টা করছে তারা। এটি অ্যারাবিকা কফি নামেও পরিচিত। অ্যারাবিকা কফি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ব্রাজিলে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানেও অ্যরাবিকা কফির উৎপাদন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
গত বছরের আগস্টে কফির দাম নিয়ে জরিপ প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই জরিপেও কফির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। রয়টার্স বলেছিল, প্রধান কফি উৎপাদক দেশগুলো বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে লম্বা সময় ধরেই লড়ছে। তার ওপর নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এল নিনো। ফলে কফির বৈশ্বিক উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এ কারণেই পানীয় পণ্যটির বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওই জরিপের ফল প্রকাশের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে রোবাস্তা কফির দাম সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ল।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :