৫ মাস ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তা্নিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে যে শর্ত দিয়েছে। সে শর্তে আমরা পেঁয়াজ কখনোই আমদানি করতে পারব না। কারণ চল্লিশ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭২ টাকা পড়বে। অথচ বাংলাদেশের পেঁয়াজের কেজি ৫৫/৬০ টাকা। তাহলে আমদানি কিভাবে সম্ভব?
তিনি বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিল ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেবে। এ কথা শুনে পেঁয়াজ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার ৭ মে যখন জানলাম ৪০ শতাংশ শুল্ক এখনও তাদের সার্ভারে দেখাচ্ছে। তাই আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতি ট্রাকে তিন লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।
আরেক আমদানিকারক বলছেন, ভারত সরকারের আরোপ করা ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে, অনুমতি দিলেও পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে না। ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি আমদানিতে অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হবে।
এতে বন্দরের চার্জসহ সকল খরচ মিটিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়বে ৭০ টাকার ওপরে। তাই বর্তমানে দেশের বাজার অনুযায়ী এই দামে পেঁয়াজ আমদানি করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের। তাই ক্ষতির আশঙ্কায় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেলো দুই দিনে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক নতুন করে ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ স.টি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :