হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু। ১৪ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমদানি করা পিঁয়াজ দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করে। বন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের মা ভারতি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩০ মেট্রিক টন রফতানি করেছে। বগুড়ার আর এসডি ইন্টারপ্রাইজ পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ আলী বলেন, ‘ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর আমদানিকারকরা আইপি ও এলসি খোলাসহ সব ধরনের কার্যক্রম শেষ করেন। কিন্তু ভারত সরকার রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ আরোপ করায় আমদানি পেঁয়াজের দাম পড়ছে কেজিপ্রতি ৬৫-৭০ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে দাম আরও কম। ফলে আমদানিতে আগ্রহ নেই অনেকের।’
৩০ টন আমদানিতে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উল্লেখ করে আহম্মেদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে দুই লাখ টাকা। সবমিলিয়ে খরচ মিলছে না। যদি ভারত রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে তাহলে আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দেশে পেঁয়াজের দাম কমবে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধের পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এক ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে। যেহেতু কাঁচাপণ্য গরমে দ্রত পচে নষ্ট হয়ে যায়, সে কারণে কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাস করে দেওয়া হবে।’
দেশে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। এরপর থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। গত ৪ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর হিলি স্থলবন্দরের ২০ আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পান।
এর আগে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পায় বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
৬ মে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী।
ওই সময় হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেছিলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের উপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
একুশে সংবাদ/ স.টি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :