প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার যে বিশাল বাজেট আসতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের জন্য, সেখানে বড় অংকের ঘাটতি মেটাতে ভরসা বিদেশি ঋণ। বাজেটের সম্ভাব্য আকার, এডিপির আকার, বিদেশি অর্থায়ন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও একই অবস্থা। আগামী অর্থবছরের এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা; যার ১ লাখ কোটি টাকাই আসবে বিদেশি ঋণ থেকে।
তবে বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ-নির্ভরতাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, দেশের আরও ২ থেকে ৩ বছর এই অর্থ সহযোগিতা নিতে হবে। বিদেশি অর্থায়নের সুবিধা হচ্ছে- দেশের যে কোনো প্রজেক্টের সাধারণত টাইমলাইন ঠিক থাকে না। এর ফলে খরচ অনেক বেড়ে যায় এবং দুর্নীতির অনেক সুযোগ তৈরি হয়।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যায়, ঋণের তারল্য কমে যায়।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারি ঋণের চাপ কমলে সেই সুযোগ যেন কাজে লাগাতে পারে বেসরকারি খাত; তা নিশ্চিতে সহায়ক মুদ্রানীতি-কৌশল সাজানোর দাবি উদ্যোক্তাদের। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, সরকারি প্রকল্পে অর্থায়নের উৎস যেমন গুরুত্বপূর্ণ; তেমনি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাছাই করা ও তা সময়মতো শেষ করতে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
দেশের আগামী বাজেটেও ঘাটতি মেটাতে থাকছে বিদেশি অর্থায়ন নির্ভরতা। যদিও একে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের যুক্তি, এতে মিলবে কম সুদের ঋণ। ছোট-বড়-মাঝারি নানা প্রকল্প হাতে নিয়েই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আর এসব কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কোথা থেকে আসবে অর্থের যোগান, তা নিশ্চিতে প্রতি বছরই বাজেটে থাকে বিশেষ পরিকল্পনা, পথ ও নকশা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :