টানা দরপতনে জিডিপির অনুপাতে ডিএসইর বাজার মূলধন নেমেছে ১২ শতাংশে। গত দেড় বছরে এ অনুপাত কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। এছাড়া, চলতি অর্থবছরে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার পয়েন্টের বেশি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, সরকারি কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে, পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
সাধারণত পুঁজিবাজারের আকার পরিমাপ করা হয় জিডিপির সঙ্গে বাজার মূলধনের অনুপাতের মাধ্যমে। উন্নত দেশে এ অনুপাত ১০০ থেকে ২০০ শতাংশের মধ্যে থাকলেও, উন্নয়নশীল দেশগুলোর পুঁজিবাজারের আকার জিডিপির ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন ৯৮ শতাংশের বেশি। আর বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় তলানিতে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এসময়ে জিডিপির অনুপাতে বাজার মূলধন ছিলো ১৭ দশমকি ৩৯ শতাংশ। আর বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ঢাকার শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে ১ হাজার ৬৪ পয়েন্ট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতা, পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার কারণে বাজার মূলধন কমছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, ‘আমাদের যেহেতু সুদের হার বেড়ে গেছে, বন্ডের রেট বেড়ে গেছে, বিলের রেট বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। এতে করে ওখানে একটা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বড় যে কোম্পানিগুলো সেগুলো তালিকা ভুক্ত না হওয়া। ছোট ছোট যেসব কোম্পানি তালিকা ভুক্ত হয় সেগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে অনেকে তাদের নাম জানে।’
ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ায় বাজারে মূলধন বাড়বে বলে আশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন– বিএসইসি। কর্মকর্তারা জানান, বাজারে সরকারি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাজারকে গতিশীল করতে সহায়ক হবে।
বড় শিল্পগ্রুপ ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে আসার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :