বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে আরও অগ্রসর ও ঘণীভূত হচ্ছে। শনিবার (২৫ মে) রাতে এটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর রোববার (২৬ মে) সকাল নাগাদ রেমাল অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের মহাপরিচালক আজিজুর রহমান।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-১ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদ সংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করে।
তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মহাবিপদ সংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করে। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :