দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। এবার সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এতোদিন ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা।
শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৮৬৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৯ হাজার ২৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, গত ২৩ মে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে গত ৩৮ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ১৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। যার মধ্যে ১১ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ৮বার। আর চলতি মে মাসে সমন্বয়কৃত ৯ দফার মধ্যে দাম বেড়েছে ৬ বার, বিপরীতে কমেছে ৩ বার।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৩ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :