বর্তমানে দেশে দু’টি ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হলো- নগদ ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকিং। দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের এ সংখ্যা আরও বাড়াতে চায় সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানের এ প্রস্তাবিত বাজেটে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছেন মন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দু’টি ডিজিটাল ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- নগদ ডিজিটাল ব্যাংকিং পিএলসি এবং কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকিং পিএলসি।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ডিজিটাল ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ডিজিটাল ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ক্রেডিট স্কোরিং সিস্টেম চালু করা হবে। ফলে খুব সহজে ভুয়া ও বেনামি ঋণগ্রহীতাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রকৃত ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হবে।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :