স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহায়ক হিসেবে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্যাশলেস হওয়ার শর্তে তিন বছর করমুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ প্রস্তাব করেছেন। বাজেটে ক্যাশলেসে বাড়তি সুবিধার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা খাতের (আইটিইএস) উদ্যোক্তারা অতিরিক্ত তিন বছরের কর ছাড় পাবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাদের সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। নগদ অর্থের পরিবর্তে ব্যাংক লেনদেন ব্যবহার করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার কর সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য, একটি ক্যাশলেস অর্থনীতিকে উৎসাহিত করা এবং আর্থিক লেনদেনকে আরও আনুষ্ঠানিক করা।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘোষণা করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবা খাতের (আইটিইএস) উদ্যোক্তারা অতিরিক্ত তিন বছরের কর ছাড় পাবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাদের সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়া নন-লিস্টেড কোম্পানিগুলো বর্তমান ২৭.৫ শতাংশ আয়কর থেকে ২.৫ শতাংশ কম আয়কর দেওয়ার সুবিধা পাবে যদি কোম্পানির ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা হয়।
যেসব পাবলিক লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানি ট্যাক্স সুবিধা চায়, সেগুলোকে সর্বশেষ বাজেটের ধারাবাহিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি নির্দিষ্ট স্তরের লেনদেন করার পর একটি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে।
বর্তমানে ২৭টি আইটি-সক্রিয় পরিষেবা কর অব্যাহতির সুবিধা পেলেও আসন্ন বাজেটে পরিষেবার সংখ্যা কমিয়ে ১৯ করা হবে। পাশাপাশি কর অব্যাহতির সুবিধায় আরও চারটি নতুন সেক্টর যুক্ত করা হবে। সেগুলো হলো- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সল্যুশন ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন-ভিত্তিক সল্যুশন ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার পরিষেবা এবং ডেটা বিজ্ঞান ও ডিজিটাল তথ্য বিশ্লেষণ।
আইটিইএস-এর মধ্যে রয়েছে সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস, ডিজিটাল ডাটা অ্যানালিটিক্স, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন সার্ভিস, ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস, আইটি সহায়তা এবং সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ সেবা, ভৌগোলিক তথ্য সেবা, ডিজিটাল অ্যানিমেশন ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাবলিকেশন, আইটি ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার সার্ভিস, ডকুমেন্ট কনভার্সন, ইমেজিং এবং ডিজিটাল আর্কাইভিং।
বাদ পড়া পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশব্যাপী টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক, আইটি প্রসেস আউটসোর্সিং, ওয়েবসাইট হোস্টিং, বিদেশি মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন পরিষেবা, ক্লাউড পরিষেবা এবং সিস্টেম ইন্টারোগেশন (জিজ্ঞাসাবাদ)।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :