দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমুখি দেশের পুঁজিবাজার। গতি ফেরাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই, নেই প্রণোদনা। উল্টো ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফা ওপর কর বসানো হয়েছে। আর এতে করে বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবস রোববারে বড় দরপতন শেয়ারবাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট, লেনদেন ৩৫৭ কোটি টাকা। দর হারিয়েছে ৮৬ শতাংশ শেয়ারের। আর, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৯৪ পয়েন্ট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফায় করারোপ করায়, নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
রোববার (৯ জুন) দিনের শুরুতে নিম্নগামী ঢাকা স্টকের সূচক। লেনদেনের প্রথম ২৫ মিনিটে প্রধান সূচক কমে ৪৪ পয়েন্ট। এরপর কিছুটা বাড়লেও, লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৬৫ দশমিক সাত পাঁচ পয়েন্ট। অবস্থান করছে ৫ হাজার ১শ ৭১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩শ ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে একশ ৮৪ কোটি টাকা।
হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ৮৬ ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এর মধ্যে দর মাত্র ৩৩ টি, কমেছে ৩৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
এঅবস্থায়, শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে দীর্ঘ সময় ধরেই মন্দাভাব চলছে। এ অবস্থায় বাজেটে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ারও দাবি ছিল বিভিন্ন পক্ষের। কিন্তু বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য প্রণোদনার বদলে নতুন করে মূলধনি মুনাফা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম ,লাভেলো, দ্বিতীয় ফরচুন সুজ তৃতীয় অবস্থানে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধিতে টেক্সটাইল খাতের দাপট দেখা গেছে। তালিকায় প্রথম ভিএফএস থ্রেড ডাইং, দ্বিতীয় নূরানি ডাইং এবং তৃতীয় উত্তরা ফাইন্যান্স।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ৯৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট। লেনদেন হয় ১০৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :