স্কয়ার ফুটে চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় প্রতিবার যে অস্থিরতা তৈরি হতো এবার পিস হিসেবে চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় সে অস্থিরতা তৈরি হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ।
সোমবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘কাঁচা চামড়ার গুণগত মান রক্ষায় লেস্-কাট নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, ‘এবার চামড়ার দাম নিয়ে কোনো অস্থিরতা তৈরি হবে না। কারণ, আমরা চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছি। আগে আমরা স্কয়ার ফুটে নির্ধারণ করতাম, এবার পিস হিসেবে নির্ধারণ করেছি।’
তিনি বলেন, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া ঢাকার ভেতরে ১ হাজার টাকা, ঢাকার বাইরে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করেছি। তবে সেটি সঠিক গুণগত মানের হতে হবে। চামড়া লবণবিহীন হলে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দাম পড়বে।
এবার ৯০ থেকে ৮৫ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে মন্তব্য করে শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানিতে সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো, সংরক্ষণের জন্য দক্ষ কর্মী পাওয়া যায় না। এতে প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় চামড়া খাতে।
তিনি বলেন, ‘লবণ সঠিকভাবে না দেয়ার কারণে মূলত চামড়া নষ্ট হয়। কোরবানির দিন সবাই মাংসের জন্য ব্যস্ত থাকি, কিন্তু চামড়াটাকে আমরা ফেলে রাখি। এতে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছি। তাই আমাদের সতর্কতার সঙ্গে চামড়া সংরক্ষণ করা উচিত।’
শাহীন আহমেদ বলেন, এবার লবণের কোনো সংকট হবে না। সরকার সবখানে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এ ছাড়া চামড়া পরিবহনে যাতে সড়কে চাঁদাবাজি না হয়, সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) পরিচালক মোহাম্মদ মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব মো. রবিউল আলম, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিশনের সভাপতি আফতাব খান প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :