ঈদের আরও কয়েক দিন বাকি থাকলেও আগে ভাগেই প্রস্তুতি শেষ করেছে কাঁচা চামড়ার আড়তগুলো। যেখানে পুরোনো চামড়া সরিয়ে আড়ত খালি করে লবণ মজুত করা হয়েছে। গত বছর কোরবানির ঈদে পোস্তায় চামড়া সংগ্রহ হয় ৮০-৯০ হাজার পিস। এবারের কোরবানি ঈদে ১ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছেন রাজধানী পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা। তবে, লবণের দাম নিয়ে কারসাজি হলে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করছেন আড়তদাররা। লবণ মিল মালিকদের দাবি, এবার পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকায় লবণের সংকট হবে না।
কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বেশি আড়ত রয়েছে পুরান ঢাকার পোস্তায়। যেখানে সংগ্রহ হয় সারা দেশ থেকে আসা কোরবানি পশুর কাঁচা চামড়া।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘যেহেতু এটা একটা রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটাকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন মার্কেট বিভিন্নভাবে উঠে থাকে। এটার জন্য প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে চামড়াগুলো থেকে যায়। এবার টার্গেট ১ লাখ।’
পোস্তার আড়তদারদের দাবি, ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের পাওনা ১২০ কোটি টাকার বেশি। এ টাকা আদায় না হলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য পূরণ কঠিন হবে।
প্রতি বছর কোরবানি ঈদে লবণের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগ নতুন নয়। বিসিক বলছে, চলতি মৌসুমের এপ্রিল পর্যন্ত রেকর্ড ২২ লাখ ৩৪ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। লবণ মিল মালিকদেরও দাবি, উৎপাদন বেশি থাকায় সংকট হবে না এবার।
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, ‘দাম বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নাই। যদি কোনো মিল মালিক বা যদি কেউ দাম বাড়ায় তাহলে স্পেসিফিকভাবে জানাতে হবে কে দাম বাড়িয়েছি। আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি, জাতীয় স্বার্থে লবণের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘লবণের উৎপাদন ওভারফ্লো রয়েছে। এদিকে দৃষ্টি দিলে বা নজর রাখলে আমার মনে হয় কোনো সংকট হবে না। এ বছরের মতো আগামী বছর এমনকি প্রত্যেক বছর যেন মনিটরিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’
লালবাগের পোস্তায় ছোট বড় মিলিয়ে ১২০টি আড়তে কোরবানি ঈদে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :