বাংলাদেশ যখন বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষে, তখন দেশে বিদেশী পোশাক আমদানিতে ধারাবাহিকভাবে আবারও শুল্ক কমালো সরকার। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৭২ ধরনের পোশাক আমদানিতে শুল্ক সাড়ে ১২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০০ শতাংশ করেছেন। উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, এতে দেশে বিদেশি পোশাক আমদানি হু হু করে বাড়বে, হুমকির মুখে পড়বে দেশীয় পোশাক শিল্প। ক্ষতিগ্রস্ত হবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান, পোশাক আমদানিতে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা চলে যাবে বিদেশে।
চলতি অর্থ বছরে ১৭২ ধরনের বিদেশী পোশাক আমদানিতে শুল্ক দিতে হতো ১২২ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সাড়ে ২২ শতাংশ কমিয়ে ১০০ শতাংশে শুল্ক করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। গত বাজেটেও বিদেশী পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক কমিয়েছিল ৫ শতাংশ। এতে বিপুল পরিমাণে ভিনদেশী পোশাক আমদানি হওয়ায় ভুগতে হয়েছে দেশীয় পোশাকের উদ্যোক্তাদের। সেই সাথে ব্লক-বুটিকসহ পোশাক তৈরির এ পেশার সাথে জড়িত লাখ লাখ মানুষ।
ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আজহারুল হক আজাদ বলেন, দেশী পোশাকের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ উৎসে কর নির্ধারণ করা হয়েছে। যে উৎসে করের আওতায় আমাদের প্রান্তিক যে জনগোষ্ঠী এখানে কাজ করছে, তারাও চলে আসবে।
ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক খালিদ মাহমুদ খান বলেন, গত কয়েক ধরেই বাজেটে এমন কিছু পলিসি নেওয়া হয়েছে, তাতে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাঁচামালের খরচ বেড়ে গেছে। এতে তৈরি পোশাকের দামও বেড়েছে।
আজহারুল হক আজাদ বলেন, এ প্রস্তাবে পাশ হলে দেশে ডলার সংকট আরও বেশি বাড়বে। দেশীয় পোশাকের সুরক্ষা করলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে বলেও জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ খান আরও বলেন, এ ধরণের পলিসির শিকার হবে দেশীয় উদ্যোক্তারা। প্রান্তিক পর্যায়ে যারা পোশাক উৎপাদন করছেন, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান তিনি।
পোশাকের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে দেশীয় পোশাক ক্রয়ে ভ্যাট কমানোর দাবিও জানান তৈরি পোশাক শিল্পের দেশীয় উদ্যোক্তারা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :