AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৮ জুলাই, ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে


Ekushey Sangbad
বেলায়েত হোসেন, ঢাকা
০২:৫১ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২৪
টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে

বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। বরবটি, করলা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজি দাম ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসে আছে শসা ও কাঁকরোল। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। 

 

  • কাঁচাবাজারে বৃষ্টির প্রভাব
  • কাঁচা মরিচের কেজি ৩৫০ 
  • ৩০০ টাকার পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়
  • দরকার বাজার মনিটরিং

 

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির অতিরিক্ত বাড়তি দাম। মাছ ও মুরগির দামেও ঊর্ধ্বগতি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে এত বাড়তি দামে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা সাধারণ ।

বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, গাঁজর প্রতিকেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০, গোল বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁরস প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। যদিও বিক্রেতারা টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিকে সবজির অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও সবজির হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধির কারণে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

রাজধানী মহাখালী কাঁচা বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মতিন বলেন, 

বাজারে সবজির এত দাম দেখে নিজেই হতাশ হয়েছি। অন্য সব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। সেই সঙ্গে আজ দেখছি সবজির দাম আরও বেড়ে গেছে। বরবটি করলা বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজি দাম ১২০ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকার ঘরে আছে শসা, কাঁকরোল। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাছ মাংসের দাম তো আগে থেকেই বেশি সাধারণ মানুষ যে সবজি খাবে সেগুলোর দামও দেখছি আজ আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। যখন যেভাবে ইচ্ছা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেখানে ক্রেতাদের কিছুই বলার নাই কিছুই করার নেই। কোনো সাধারণ মানুষ এত দাম দিয়ে এগুলো কিনে খেতে পারবে না।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা হামিদ হক একই রকম অভিযোগ জানিয়ে বলেন, 

এক মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, আর পেঁপের কেজি ৫০ টাকা। বাকিগুলো ৮০ টাকার ঘরে। এছাড়া করলা, বেগুন, কাঁকরোল, বরবটি, শসা এগুলোতে হাত দেওয়ার উপায় নেই, কারণ এগুলো দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। বাজার মনিটরিয়ের কোনো উদ্যোগ নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। দামের বোঝা সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।

সব ধরনের সবজির বাড়তি দাম বিষয়ে রাজধানীর গুলশান লেকপাড় বাজারের বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, 

বেশ কিছুদিন ধরেই সবজির কিছুটা বাড়তি দাম। তবে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বেড়ে গেছে। আজ কারওয়ানবাজারেই পাইকারি সব সবজি কেনার অতিরিক্ত দাম লেগেছে। সেইসঙ্গে রাস্তা খরচসহ পরিবহন খরচ মিলিয়ে খুচরা বাজারে এর দাম আরও বেড়ে গেছে।

একই বিষয়ে কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে জমিতেই সব ধরনের সবজির গাছগুলো হেলে পড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ফসলও তুলতে পারেনি কয়েকদিন। সবমিলিয়ে পাইকারি বাজারেই সব ধরনের সবজির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে হঠাৎ করেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টি শেষে আবার সবজি সরবরাহ ঠিক হলে দাম ফের কমে আসবে। এছাড়াও অনেক সবজির ইতোমধ্যে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে, শেষ সময়ের অল্প কিছু সবজি আসছে বাজারে। নতুন করে যখন আবার ফসল উঠতে শুরু করবে তখন ফের সবজির দাম কমে আসবে।

Link copied!