শেয়ার বাজারের টুকিটাকি
প্রাইমারি শেয়ার কী?
যারা শেয়ার বাজারে নতুন ব্যবসা করতে আসবেন তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে কতগুলো বিষয় জানা দরকার। যেমন- দুই প্রকারে আপনি শেয়ারবাজারে অর্থ লগ্নি করতে পারেন। প্রাইমারি শেয়ার ও সেকেন্ডারি শেয়ার।
বাজারে কোনো কোম্পানি প্রথমে প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোনো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে। প্রতিটি কম্পানির শেয়ারের একটা ফেসভ্যালু থাকে। কোম্পানি যখন তার শেয়ারটি মার্কেটে ছাড়তে চায় তখন সে ফেসভ্যালুর সাথে প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে। এসইসি (সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন) যদি অনুমোদন দেয় তবে তারা তাদের শেয়ার কেনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে। যাকে আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বলে থাকে।
কোনো কম্পানির ফেসভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করলো ১৫ টাকা। এখন কেউ যদি ওই শেয়ার IPO-এর মাধ্যমে পেয়ে থাকে তবে প্রতি শেয়ারে দাম পড়ে ১৫ টাকা। এখন ইচ্ছা করলে কেউ এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবে। সাধারণত দেখা যায়- প্রাইমারি শেয়ারের যে দাম তার তুলনায় সেকেন্ডারি মার্কেটে এর দাম বেশি হয়ে থাকে। শেয়ারটি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে ২৫ টাকায় ওপেন হয় তবে তখন বিক্রি করলে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা লাভ পাওয়া যাবে।
যদি এই কম্পানি সামনে আরও ভালো করবে তবে প্রাইমারিতে প্রাপ্ত শেয়ার আপনি অনেক দিন ধরেও রাখতে পারেন পরবর্তীকালে বেশি দামে বিক্রির জন্য। ধরুন আপনি যে কম্পানির প্রাইমারি শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন তার প্রিমিয়াম অনেক বেশি। তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি যে দামে শেয়ার কিনেছেন তার তুলনায় দাম কমেও ওপেন হতে পারে। তাই প্রাইমারি শেয়ার মানেই লাভ না মনে করে কম্পানিটি কী দামে শেয়ার ছাড়ছে এবং কম্পানির আয় কেমন অর্থাৎ কম্পানিটি ভালো কি না তা যাচাই করে শেয়ার কিনতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :