রাজধানীতে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য আসায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সবজিতে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুরগিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা, আর মাছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা কমেছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের অন্য দিনের মতো সকাল সকাল কেনাবেচাও শুরু হয়েছে মাছবাজারে। সংকট মোটামুটি কেটে যাওয়ায় বেড়েছে সরবরাহ; গেলো কদিনের পর সব ধরনের মাছের দামও কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে ইলিশের হালিতে দাম কমেছে ৬শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মুখেও শোনা যায় সংকটের কয়েক দিন পার করার পর এমন স্বস্তির কথা। তারা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বেড়ে গেছে সবজির সরবরাহ; তাই কমেছে দামও।
কয়েকদিন পর আবারও ভরপুর আলু-পেঁয়াজের দোকানগুলো; দামও কমতির দিকে বলে জানালেন বিক্রেতারা। তারা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে হওয়ায় শুরু হয়েছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। এতে আলু-পেঁয়াজের সরবরাহও স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে, পাইকারিতে একদিনে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমে নেমেছে ১৬০ টাকায়; দাম কমেছে বেগুনেরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
ক্রেতা ও বিক্রেতারা আরও জানান, তিন চারদিন আগে যে দামে বিক্রি হয়েছে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি, বুধবার সকাল থেকে তা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কম দামে।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। কমতির দিকে ডিমের বাজারও। বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, যা দুদিন আগেও ছিল ১৬০ টাকা।
এদিকে, প্রত্যাশা মতো ক্রেতা নেই মুদি দোকানগুলোতে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানালেন দোকানিরা। যদিও সংকট বাড়ায় ডাল, তেল ও চিনির দাম এখনও চড়া।
এদিকে, চালের বাজার পরিবহন সংকটে পড়লেও বিক্রেতারা জানান, তেমন চাহিদা না থাকায় নতুন করে বাড়েনি দাম।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :