চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত পোর্ট ডেমারেজ না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এর ফলে, আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে একটি কনটেইনার সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত বিনা ভাড়ায় ইয়ার্ডে রাখার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান নিয়মে ২০ ফুট দীর্ঘ একটি কনটেইনার সর্বোচ্চ ৪ দিন পর্যন্ত একটি কনটেইনার বিনা ভাড়ায় রাখা যায়। এরপর প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ৬ ডলার করে স্টোর রেন্ট বা ভাড়া গুনতে হয়। দ্বিতীয় সপ্তাহে দিন প্রতি এই ভাড়া ১২ ডলার এবং ২১ দিন পার হলে প্রতিদিনের জন্য ভাড়া দিতে হয় ২৪ ডলার করে। ৪০ ফুট দীর্ঘ কন্টেইনারের ক্ষেত্রে এই ভাড়ার হার দ্বিগুণ।
বন্দরে আটকা কন্টেইনার, জরিমানা নিয়ে শঙ্কায় আমদানিকারকরাবন্দরে আটকা কন্টেইনার, জরিমানা নিয়ে শঙ্কায় আমদানিকারকরা
গত কয়েকদিনের সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে ডেলিভারি নিতে না পারায় আমদানিকারকদের কয়েক হাজার কনটেইনার আটকা পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এতে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়েন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এ পরিস্থিতিতে জরিমানা মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। কনটেইনার পরিবহন করতে পারে নাই ব্যবসায়ীরা। তাই তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পোর্ট ডেমারেজ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ সময় বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বহির্বিশ্বে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এর ফলে ক্রেতাদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ ছিল। জাহাজীকরণ হয়নি। এসব পণ্য ক্রেতারা কতটা নেবে এ নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কার্যাদেশ আছে কি না এসব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব কিছু তুলে ধরতে সোমবার ক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।’
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, চার দিন কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত ও বহির্বিশ্বে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ক্ষতি হয়েছে ৭ হাজার ৪ কোটি। এছাড়া মজুরি বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :