আর্থিক খাতের সংস্কার ও বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশে। এ ঋণ পেতে বিশ্বব্যাংক যে শর্ত দেবে, তা যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয় সেই দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাথিও এ ভার্জিনসের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলেছি রিফর্মগুলোর (সংস্কার) জন্য আমাদের সহায়তা দরকার। আমাদের একটা বাজেট সাপোর্ট দরকার ইমিডিয়েটলি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মাল্টিন্যাশনাল হিসেবে আমাদের সব থেকে বিগেস্ট ডোনার। কাজেই তাদের সহায়তা দরকার আমাদের। আমাদের লিকুইডিটির বিষয়ে কথা বলেছি। তারা সম্মত হয়েছে। আমি আবার কথা বলবো ওয়াশিংটন ডিসিতে। মোটামুটি ইতিবাচক, ওরা ওপেন মাইন্ড, আরও আলোচনা হবে। আলোচনাটা মেইনলি হবে আমরা সংস্কার কীভাবে করবো।
বাজেট সহায়তার বিষয়ে তারা কি বলেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বছরে আমরা একটা বাজেট সহায়তা, আগামীর জন্য আবার আশা করছি। ওটা ফাইনালাইজড হবে। কোনো শর্ত দিয়েছে কি না? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শর্তের বিষয় আসবে যখন ঋণ দেবে। আমাদের কতগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা দেখবো এটা যে বাস্তবায়নযোগ্য হয়। এমন দেবে না যে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো না। আবার টাকাও দেবে না। আমরা বলেছি, সংস্কারের বিষয়ে যেসব জিনিস বাস্তবায়নযোগ্য হয়, সেগুলোতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে পলিসি বেসড লোন হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঋণ পেতে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞায়ন করা এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করার শর্ত মানতে হবে বাংলাদেশকে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :