ছোট ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হতে পারে। তবে পরিস্থিতির আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. অহসান এইচ মনসুর। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক খাতের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় গভর্নর বলেন, নামে-বেনামে যেসব টাকা বেরিয়ে গেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে। ছোট ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হতে পারে।
তবে পরিস্থিতির আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এজন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। এর আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।
এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :