ভারত থেকে আলু আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে দেশি আলুর দাম। কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। বর্তমানে দেশি বড় জাতের আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় এবং দেশি ছোট জাতের আলু ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বন্দরের মোকামে ভারতীয় আলু ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ভারত থেকে কম শুল্কে আলু আমদানির কারনে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টম্বর) দুপুরে হিলির কাঁচা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
একজন ক্রেতা বলেন, ভারতীয় আলু কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখলাম ভারতীয় আলু বাজারে নেই। তবে দেশি আলুর দাম কিছুটা কমেছে। যার জন্য দেশি আলুই কিনলাম। কিন্তু ভারত থেকে আলু আসলেও তেমন দাম কমেনি দেশি আলুর। দেশি আলুর দাম যদি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হতো। কিন্তু বাজারে সব জিনিস পত্রের দামই চড়া। সাধারণ মানুষের সংসার চালাতে কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এই জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, গতকাল ভারত থেকে দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। সেই সব আলু আমরা কিনতে পারিনি। স্থলবন্দরে যাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে দেশি আলু প্রচুর পরিমান রয়েছে। এমনকি দামও কিছুটা মোকামে কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিকটন আলু আমদানি হচ্ছে ১৮০ মার্কিন ডলারে। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ শুল্ক থেকে ৩ শতাংশ শুল্কে আলু আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে এই সব আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা রুপি দিয়ে কিনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। সব খরচ মিলে বন্দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে। তবে আমদানি যদি বৃদ্ধি হয় তাহলে দাম অনেকটাই কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দরের ১৬টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২২ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :