আবারও ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে। এদিকে, মৌসুমের শেষে এসে আগুন ঝরছে ইলিশের বাজারে। কমতির কোনও আভাস নেই চালের বাজারেও। ভোক্তারা বলছেন, দেশের পটপরিবর্তন হলেও বাজারে মেলেনি তার কোনও প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের।
গত জুলাই ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকার ঘরে। হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থী ও সরকারি সংস্থার মনিটরিংয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সেই দাম নামে ১৬০ টাকায়। দুমাস ওঠানামার পর আবারও ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে ফিরলো পণ্যটি।
গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৮৫-১৯০ টাকা। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় ও সম্প্রতি বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা; এতে বাড়ছে দাম।
এদিকে, রফতানির খবরের পর বাড়তির দিকে উঠতে থাকা ইলিশের দাম এখন আকাশচুম্বী। বড় আকারের দেড় কেজি ওজনের একেকটি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২৬শ থেকে ২৭শ টাকা। এক কেজি ওজনেরটি বেচকেনা চলছে ১৮ থেকে ১৯শ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম শেষে মাছের সরবরাহ কমেছে; এতে দামও বেড়েছে। রফতানি যতদিন চলমান থাকবে, দাম তত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে বড় মাছ কেনার সাধ্য নেই। তাই ছোট ইলিশ কিনতে হচ্ছে।
এদিকে, চালের বাজারও বাড়তির দিকে। সব থেকে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭১-৭২ টাকা, আটাশ ৫৭-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকা, পাইজাম ৫৬-৬০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুঁড়া পোলাও ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :