বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা মহামারি পরবর্তী সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। আজ শুক্রবার প্রকাশিত সংস্থাটির গ্লোবাল ইকোনমিক (ডব্লিউইএফ) প্রসপেক্টস রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগ ও উৎপাদন কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে। করোনা মহামারির পর দেশের অর্থনীতিতে এ বছর সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে দেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হলেও, বিশ্বব্যাংক বলছে, তা হবে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ এবং শিল্প কার্যক্রম হতাশাজনক নিম্নস্তরে থাকবে, যা প্রবৃদ্ধির হারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরবরাহের সীমাবদ্ধতা, জ্বালানি সংকট ও আমদানি নিষেধাজ্ঞা উৎপাদন কমিয়েছে। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়িয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে, যার কারণে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ধীর হবে।
তবে নেতিবাচক পূর্বাভাসের মধ্যেও ভবিষৎ নিয়ে আশাবাদী বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, আগামী অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ ভাগে পৌঁছানো সম্ভব।
সেজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আর্থিক খাতে সংস্করণ, ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
এর মধ্যে আছ রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :