ফল আমদানির ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়ায় দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, ফলে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের ফলমন্ডি। এতে আসন্ন রমজানে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশ্বাসে জাহাজ থেকে আপাতত ফল খালাস শুরু হলেও যেকোনো মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
এক সপ্তাহ পরই শুরু রমজান মাস। এ সময় ফলের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। কিন্তু রোজা শুরুর আগেই অস্থির ফলের বাজার। সব ধরনের বিদেশি ফলের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোয় গতবারের তুলনায় এবার মূল্য দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে ইফতারে ফল রাখা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত রোজার আগে আপেল ও মাল্টার ডিউটি ছিল ৮০ টাকা এবার তা বেড়ে ১১৮ টাকা হয়েছে। যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। এবার ক্যারেটপ্রতি কমলার পাইকারি মূল্য ৫১০০ টাকা। আর প্রতি কেজি কমলার খুচরা মূল্য ৩৮০ টাকা। ক্যারেটপ্রতি মাল্টার পাইকারি মূল্য ৩২০০ টাকা। প্রতি কেজি মাল্টার মূল্য ২৫০ টাকা। ক্যারেটপ্রতি আপেলের পাইকারি মূল্য ৫১০০ টাকা। আর খুচরা মূল্য ৩০০ টাকা। এবার ক্যারেটপ্রতি আঙ্গুরের পাইকারি মূল্য ৫৩০০ টাকা। আর খুচরা মূল্য ৩০০ টাকা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠিনক সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম বলেন, বৈঠকে যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে স্থগিত হয় আন্দোলন। তবে দাবি না মানলে আবারও আন্দোলনে নামবে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রোজায় চাহিদার কাছাকাছি পরিমাণের ফল এরইমধ্যে দেশে চলে এসেছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :