বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির মতে, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা কম হতে পারে। ফলে ঘাটতি মেটাতে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিতে হচ্ছে।
রোববার (১৬ মার্চ) আগামী অর্থবছরের বাজেট সুপারিশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
সিপিডি কার্যালয়ে আগামী বছরের বাজেটে সুপারিশমালা তুলে ধরে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, সরকার এই মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বাড়ালে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থায় চলে যাবে। সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে খানিকটা স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে একজন করদাতার করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা আছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা আরও ৫০ হাজার টাকা বাড়ানোর কথা বলেছে সিপিডি।
রাজস্ব আয় নিয়ে সিপিডির পর্যবেক্ষণ, ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কমাতে আগামী বাজেটে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
বর্তমান ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ওপর ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ হারে কর বসে। প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার ওপর কর নেই। পরের প্রথম এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ এবং বাকি অর্থের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর বসবে।
এছাড়া মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা হলো চার লাখ টাকা। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকা হবে। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যক সন্তান বা পোষ্যর জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে।
এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির এলাকায় অবস্থিত করদাতার জন্য ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা, অন্য সিটির করদাতার জন্য ৪ হাজার টাকা এবং সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্য এলাকার করদাতার জন্য ৩ হাজার টাকা দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :