বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন খাতে দেওয়া কর অব্যাহতির ফলস্বরূপ এনবিআর বর্তমানে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে শিগগিরই কর ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, আগামী বাজেটে এই পরিবর্তনটির প্রতিফলন দেখা যাবে।
আজ সোমবার রাজধানীর রাজস্ব ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কর সুবিধা দিয়েও দেশের পুঁজিবাজারের কোনো উন্নতি হয়নি।’
প্রতিবছর আয়কর খাতে নানা ধরনের কর ছাড় দেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালীরা এসব করছাড়ের সুবিধা পান। ফলে প্রকৃত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। এনবিআরের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে বছরে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার আয়কর ছাড় দেওয়া হয়।
এবারের প্রাক বাজেট আলোচনায়ও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের দাবি জানান পুঁজিবাজার, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। শেয়ার বিক্রি করে বছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে যে গেইন ট্যাক্স দিতে হয়, তা মওকুফের দাবি জানান ডিএসই চেয়ারম্যান।
ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হাই নেটওয়ার্ক ব্যক্তিদের মার্কেটে ফিরিয়ে আনতে চাই, সেক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স এর দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর সুবিধা দেয়ার পরও দেশের অর্থনীতিতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি পুঁজিবাজার। বরং রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আপনি জাতিকে রাজস্ব দিবেন না, আপনি টাকা খাটিয়ে ব্যবসা করলেন, একশো টাকা লাভ করলেন, কিন্তু ১৫ টাকাও দিবেন না। এই রোগ থেকে আমাদেরকে সরতে হবে।’
শেয়ারবাজার ধসের পিছনে সরকারি বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবির ভূমিকা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এছাড়া, আগামী অর্থবছর থেকে আমদানির ঋণপত্র খোলার ওপর আবগারি শুল্ক কমানোর আশ্বাস দেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :