১৯৭১, নোবেল প্রাপ্তি, জুলাই- আগস্ট ২০২৪ - সত্যের পথে, বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের একক ও অনন্য অর্জন।
২৬ মার্চ, ১৯৭১ কালুরঘাট, ২০০৬ অসলো, নরওয়ে ও দেশের মাটি বাংলাদেশ, তিনের বিরল ইতিহাস আমাদের কিংবদন্তি, প্রাচুর্যের ভান্ডার ও প্রাণের শক্তি।
সেই ঐতিহ্যের ভরা প্রাণে উন্নয়নের দিক নির্দেশনা আর একতা আজ যেন এক অমূল্য সম্পদ, যার অভাব হবে দীর্ঘস্থায়ী আর প্রচার হবে সময় উপযোগী।
সমন্বয়, মিলন ও ত্যাগের মহিমা উন্নয়ন আনবে, কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অগ্রগামী হবে নারী উদ্যোক্তা ও দেশ-স্বার্থক হবে বিজয়।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, জিডিপি বৃদ্ধি আর জীবিকার প্রসার এই দুইয়ের মিলন অর্থনৈতিক মুক্তির চাবিকাঠি।
কৃষির আধুনিকরণ, মেকানাইজড প্রযুক্তির সংযোজনে বিনিয়োগ, ভর্তুকি, শস্য উৎপাদন বর্ধিত করণে ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সাহায্যে করবে যাহা অন্যান্য রপ্তানি পণ্যর সহজ বিকল্প ও ধারাবাহিক বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপার্জন শক্ষমতা দেবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারেও বিনিয়োগ বর্তমান উন্ননের ধারার সাতে সম্পৃক্ত। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে ব্যাংক সমূহের আন্তরিকতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার কার্যক্রম মন্দ ঋণের বোঝা লাঘবে সাহায্যে করে যা প্রকারান্ত্যেরই সামগ্রিক অর্থনীতির সহ্যায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরিসংখ্যান অনুষঙ্গ মতে দেশের নারী উদ্যোক্তারা আজ সফল ও রপ্তানি কার্যক্রমে সক্রিয়। বিদেশি বিনিয়োগ তাদের চলমান এই কার্যক্রমকে ত্বরাণ্বিত করবে যা রপ্তানি বৃদ্ধি ও পালে নতুন দিনের সূচনা আনবে।
রপ্তানিতে বিদেশীদের দেশের ভাগ্য নির্ধারণের অসহায়ত্ব আর লাল চোখ ইতিহাস হবে আর সকল ত্যাগ শতভাগ সার্থক হবে।
দেশের উন্নয়ন ও ভাগ্য পরিবর্তনের কর্মে যারা নিবেদিত, জীবন বিপন্নেয়ও যারা ছিলেন সংগ্রামী ও প্রতিবাদী তাঁদের অনুকূলে সমর্থন দেশের ও মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে, উজ্জল হবে নিজেদের পোস্টার আর বাংলার রংধনু দেখবে পৃথিবী।
বৃদ্ধি পাবে কর্ম দক্ষতা, থামবে, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, ব্যাংকার ও পেশাবীদের উপর প্রভাব আসবে সফলতা। আমার জন্মভূমি হবে ধন আর পুষ্পের স্বর্গরাজ্য সফল হবে স্বাধীনতা, নোবেল বিজয় আর জনতার হুঙ্কার।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নির্ভয় জ্ঞানের প্রসার আর জ্ঞানীর উৎসাহ সমগ্র দেশকে করেবে আলোকিত ।
দেশের তরে নিজেরই করিব বিলীন তবেই পাহিবো প্রাণ এই নিথর দেহে।
অপারসম্বাবনার আমার এই দেশ জীবনের পরিক্রমা দেখা হয় নাই পরিপূর্ণ তাই কবি বললেন “ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্ধু”।
নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস, কর্ম, শৃংখলা, দেশ মাতৃকার আনবে শান্তি, আকৃষ্ট করবে নতুন বিনিয়োগ, বৃদ্ধি হবে বৈদেশিকমুদ্রা রিসার্ভ, কমবে মুদ্রাস্ফীতি।
স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা, গুণীদের সমর্থন, শহিদদের আত্মার মাগফেরাত।
লেখক- তারিক আফজাল, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :