ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব স্থলবন্দর মূলত ভারতের সঙ্গে সুতা আমদানির জন্য ব্যবহৃত হতো। নতুন সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এনবিআর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা পূর্ববর্তী প্রজ্ঞাপন সংশোধন করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারত থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দর/কাস্টমস হাউজ ব্যবহার করে ডাম্পিং মূল্যে সুতা ও কাপড় স্থানীয় বাজারে প্রবেশের ফলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের চ্যালেঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এ বিষয়ে বিটিএমএর পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারকদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের সংকটাবস্থা এবং নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের টেক্সটাইল সেক্টর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্তাবলি পূরণের অজুহাতে রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথে বা অন্য কোনো পথে সুতা আমদানি করা যাবে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :