চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হবে। যদিও গত জানুয়ারিতে সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল, এবার তা কমিয়ে ৩.৩ শতাংশে আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা গতি পাবে এবং তা বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হয়েছে, যা সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে বাস্তবতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা বিবেচনায় বিশ্লেষকরা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সন্দিহান।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়, ২০২৫ সালে অঞ্চলটির গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। প্রতিবেশী ভারতের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মন্তব্য করেন,
“এখনই সময় প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারে মনোযোগ দেওয়ার। অর্থনীতির সহনশীলতা বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য বাণিজ্য নীতিমালায় শিথিলতা, কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং বেসরকারি খাতে গতি আনতে হবে।”
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :