সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী চাকরি প্রত্যাশীরা। তারা প্রতিবাদ হিসেবে প্রতীকী সনদ ছিঁড়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থী সমাবেশে ৩০ ঊর্ধ্ব সার্টিফিকেট ছেঁড়ার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
তাদের অভিযোগ, সরকার বারবার আশ্বাস দিলেও সেই দাবি পুরণ করছে না। এমনকি নির্বাচনের আগে এধরণের কথা রাখার আশ্বাস দিলেও ঘোষণা করছে না।
এক পর্যায়ে শাহবাগ দিয়ে সবধরণের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। দুপুর ২টা ৩০ পর্যন্ত দেখা গেছে, শাহবাগ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ও অনার্স কলেজগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করতে ২৭ থেকে ২৮ বছর লেগে যায়। আবার কোথাও কোথাও ২৮-২৯ বছর লেগে যায়। পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি না নিতেই বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর। যেহেতু এই দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সেশন জট কমাতে পারেনি সরকার তাই চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি অনেক দিন থেকে করে আসা হচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সময় হয়েছে। সরকার এইসব চাকরি প্রত্যাশীদের বয়সসীমা বাড়িয়ে দিক আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব।
এদিকে চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন ঘিরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ডিএমপির রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পাশেই জামায়াতের একটি প্রোগ্রাম চলছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা দ্রুত যেন সড়ক ছেড়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে বলেছে, তারা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করে সড়ক ছেড়ে দেবে।’
গত কয়েক বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে এক দল শিক্ষার্থী আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে শাহবাগে বেশ কয়েকবার পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেছেন।
একুশে সংবাদ/এপি
আপনার মতামত লিখুন :