আগামী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। আগামী বছর থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন ও অংশগ্রহণমূলক পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য কোন বিষয়ে সর্বোচ্চ ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল- কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন জানান, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত অনুষদ, বিভাগ ও জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ও মৎস্য অনুষদ, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর- এ বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে গণিত, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং প্রয়োজনীয় জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় শিক্ষা কার্যক্রম যথাযতভাবে পরিচালনার জন্য মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু নঈম শেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দীন, ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমানসহ ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রফেসর আলমগীর বলেন, শর্তসাপেক্ষে নতুন তিন পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে অনুষদ, বিভাগ ও জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিশ্ববদ্যিালয়গুলো স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি উপাচার্যদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ল্যাব ব্যবহারে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করার পরামর্শ দেন।
শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা নির্ধারিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা সুবিধাদির ওপর।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৫৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করবে তার জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে ইউজিসি।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :