দেশের আট বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তিন ধাপে আবেদন জমা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। অথচ এখনো পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে পারেনি অধিদপ্তর। তবে চলতি আগস্ট মাসেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির একটা সভা হবে। সেখানে হয়তো তারিখটা ঠিক করা হবে এবং এ মাসেই সেটা জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। নভেম্বরে স্কুলে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা। ফলে পরীক্ষার কেন্দ্র পাওয়া কঠিন হবে। আর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশে ভিন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের বাকি চারমাস; এমনকি আগামী বছরের জানুয়ারিতেও পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করাটা কঠিন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন উইংয়ের পরিচালক মনীষ চাকমা বলেন, ‘চলতি মাসে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। শিগগির এ বিষয়ে একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তাদের সঙ্গে প্রতি বছর চুক্তি নবায়ন করে অধিদপ্তর। তবে এ বছর এখনো এ নিয়ে কোনো চুক্তি বা আলাপ হয়নি বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের একটি সূত্র।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ শাখার গবেষণা কর্মকর্তা এস এম মাহবুব আলম বলেন, ‘বুয়েট আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। তারা ফলাফল তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। প্রতিবছর আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করি। এবার এখনো সেটা হয়নি। দ্রুতই এটি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।
এরপর ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।
সাড়ে ৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জানানো হয়- শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের আট হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :