লালমনিরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার অভিযোগে ১০জন নারীসহ ১৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ ও আরও ৩ পরীক্ষার্থীকে অসদ উপায় অবলম্বনের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, সরকারি মজিদা খাতুন কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এসব পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এরমধ্যে অপরাধ বিবেচনা করে ১৩ পরীক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চৌধুরি বলেন, ‘এ জেলায় মোট ১৬ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪২৭জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার কারণে ১৬জনকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কৃত ১৬ জনের মধ্যে অপরাধ বিবেচনায় ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ১৩জন পরীক্ষার্থীকে আসামী করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মামলা করবে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটক পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা রয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করে আসামীদের আদালতে সোপর্দ করবো।
তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ১০জন নারী ও ৩জন পুরুষ রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ তাদের আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার অভিযোগে বহিস্কৃত ১৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩জনকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :