নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তবে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে এখন যা করা হচ্ছে তা অপরাজনীতি।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। এ উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, এ উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামি ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদ্রাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও বিরোধ নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
এসময় মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু, সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষকরা, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :