বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু বয়স ৩৫ পেরিয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের শিথিলতা দাবি করেন এমন চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এনটিআরসিএ এর সামনে ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তি–প্রত্যাশী ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সারা দেশের তিন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। বয়স শিথিলসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্য দাবিগওলো হচ্ছে- নিবন্ধন সনদ পাওয়ায় তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর এবং উপর্যুক্ত সময়ের মধ্যে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চায়।
অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে চার বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়েছে ।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন করতে দেরি করায় ইতিমধ্যে অনেকের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে। এই অবস্থায় অনেকের বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি । কাজেই বয়সে ছাড় পাওয়া ১৭তম নিবন্ধনধারীদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি করছি।
৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিবন্ধিত প্রার্থীদের বয়সে শিথিলতা দিয়ে চাকরি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
যেহেতু করোনা মহামারির ও এনটিআরসিএর বিভিন্ন দাপ্তরিক কারণে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিকের ফলাফল প্রকাশে অনেক দেরি হয়েছে। তাই তাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে আগত চাকরি প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন এর প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর এমপিও নীতিমালা অনুসারে বয়স শেষ হয়েছে অনেক আগে। সরকারি ও বেসরকারি সব চাকরিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে বয়স গন্য করা হয়।
কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ক্ষেত্রে গণবিজ্ঞপ্তির সময় বয়স ৩৫ হতে হবে যাহা সম্পুর্ণ ভিন্ন। তাই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স শিথিল করে আবেদনের সুযোগ না দিলে দাবি দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলেন মানববন্ধনে ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থীরা।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, খুলনা জেলা থেকে আসা মানববন্ধনে উত্তম সরকার নামে চাকরি প্রত্যাশী বলেন, ১৭তম নিবন্ধনধারীদের বয়স শিথিল যৌক্তিক দাবি। আমরা হলাম করোনার মূল ভুক্তভোগী। প্রায় ৪ হাজার নিবন্ধনকারীর পরিবারের অসহায়ত্ব ও বয়সের কথা বিবেচনা করে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে অনন্ত একবার হলেও আবেদন এর আহ্বান জানান তিনি ।
চট্টগ্রামের মোঃ ইউসুফ ইমন নামে আরেক চাকরিপ্রার্থী জানান, করোনার কারণে সরকার চাকরিসহ সব ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু এই ছাড় পাওয়ার প্রকৃত দাবিদার ১৭তম নিবন্ধনধারীরা। আমি আশা করছি বর্তমান সরকার শিক্ষা ও শিক্ষা বান্ধব সরকার। তাই শিক্ষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এরকম কোন সিদ্ধান্ত নিবে না।
১৭ শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের সভাপতি মো: রাজ্জাকুল হায়দার বলেন, আমরা এর আগে একই দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্বরা। তাই সাংবাদিকদের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ আপনারা সব দপ্তরে খোঁজ নিয়ে একটু অবহিত দিলে আমরা উপকৃত হব।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজ্জাকুল হায়দার, সহ সভাপতি ইউসুফ ইমন, মোহাম্মদ এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার, জমির উদ্দিন, নাজমুল হুদা, পিজুস চন্দ্র, আরিফ খান, রেজা খান, হিমেল।
একুশে সংবাদ/স.রি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :