সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
নির্দেশনা অনুযায়ী- নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৬ মে স্ব স্ব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
প্রার্থীর অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে ৬ মের মধ্যে স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
রোববার ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেওয়ার সময় ওইসব কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ৬ মের মধ্যে ওপরে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।
এদিকে, মৌখিক পরীক্ষার সময় শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া সব সনদপত্রের মূল কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পরবর্তীতে জানানো হবে।
গত ২৯ মার্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার প্রার্থীরা তৃতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে এ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
একুশে সংবাদ/জা. নি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :