AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আগামী মাস থেকে টিফিনে শিক্ষার্থীরা পাবে দুধ–ডিম–কলা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৫০ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৪
আগামী মাস থেকে টিফিনে শিক্ষার্থীরা পাবে দুধ–ডিম–কলা

দেশের অনেক শিশুই খালি পেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। অনেক পরিবারেরই টিফিন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিফিন হিসেবে বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি বন্ধ। এবার আগামী মাস থেকে চালু হচ্ছে মিড–ডে মিল। শিক্ষার্থীদের টিফিনে দেওয়া হবে রুটি, দুধ, কলা ও ডিম। প্রাথমিকভাবে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বিদ্যালয় দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে সব বিদ্যালয়েই চালু হবে মিড–ডে মিল। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প চালু হলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়বে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, ‘দারিদ্র–পীড়িত শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাই অতিসত্ত্বর কর্তৃপক্ষের নিকট স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা জোর অনুরোধ করছি।’  

এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ১৫০টি উপজেলার ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীকে দুপুরে খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে স্কুল ফিডিংয়ের কর্মসূচি আগামী মাসেই চালু হচ্ছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ১ হাজার ৯৫টি স্কুলে। এরপর ধাপে ধাপে সব উপজেলায় দেওয়া হবে এই খাবার। প্রকল্পটির জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘বনরুটি, ডিম, কলা এবং স্থানীয় যে মৌসুমী ফল আছে সেগুলো পাবে এবং একটা মডালিটিতে এটা পরিচালিত হবে। ধাপে ধাপে সকল উপজেলায় আমরা এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের চেষ্টা করব।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, স্কুলে মিড–ডে মিল আবার চালু করা জরুরি। কারণ অনেক স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। এটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, ‘বাচ্চারা এখানেই টিফিনটা করবে। সকালে যে বাচ্চাগুলো ছিল সেসব বাচ্চাদের সংখ্যা, আগে যে বাচ্চা ছিল, টিফিনের পর বাচ্চার সংখ্যা কমে গেছে। এর কারণ হচ্ছে, ওই যে সে টিফিনে গিয়েছে, গিয়ে আর আসেনি। এই জায়গাটা মিনিমাইজ করা যাবে।’

দেশে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

 

একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা

Link copied!