গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও ঈদুিল আজহা উপলক্ষে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাস হতে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচারের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এস্টেট অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
ফরিদ গত ১৪ জুন ভোর পাঁচটার দিকে ভ্যানযোগে এসব গুড়ি পাচার করে বলে জানা যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ২৭ জুন তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সোমবার ( ১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, ওইদিন ভোর পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুড়ি ও খড়ি পাচার করা হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দিলে ওই নিরাপত্তাকর্মচারী নিজে গিয়ে ‘ভ্যান পাসের’ ব্যবস্থা করেন। এসময় অভিযুক্ত সেই কর্মচারী বাইকযোগে ওই স্থানে টহলের মাধ্যমে প্রটোকল দিচ্ছিলেন এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। সিকিউরিটি প্রধানের (আব্দুস সালাম সেলিম) সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাঁধা দিলে সেগুলো আমি আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।
প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, সে কিছু ছোট-খাটো খড়ি আর পাতা নিতে চাওয়ায় আমি তাকে বাঁধা দেইনি। যখন শুনলাম কয়েক ভ্যান খড়ি নিয়েছে তখন আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি।
এদিকে এ ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির সদস্য সচিব অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান এবং সদস্য আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটু। গঠিত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেহের আলী বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। দ্রুতই কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে তদন্ত কাজ শুরু করবো।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :