ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও দেশের রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন তাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগে সম্মতি দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কোনো পদে না থেকে হঠাৎ করে তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কে এই অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতিবিমুখ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ। কোনো দলের রাজনৈতিক সভা সমাবেশে তাকে দেখা যায়নি। সবসময়ই একাডেমিক বিষয়ে প্রাধান্য পাওয়ায় তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছেন। সম্প্রতি তার ৩৫ পৃষ্ঠার জীবন বৃত্তান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়। তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক ও ৮ জন এমফিল গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বিখ্যাত চুনতি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান এবং অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট। এ কারণে, অত্র এলাকায় তাদের বাড়িটি ‘ডেপুটি বাড়ি’ হিসেবে বিশেষ পরিচিত লাভ করে।
অধ্যাপক নিয়াজ খানের বাবা ড. শফিক আহমদ খান অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
পেশাগত জীবনে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ‘অধ্যাপক’ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৬ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি এই বিভাগেই অধ্যাপনা করছেন।
ঢাবির উপাচার্য হওয়ার আগে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র একাডেমিক অ্যাডভাইজার এবং সেন্টার অব রিসোর্সেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :