আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা যেন সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার নিয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর পরিসংখ্যান:
সাধারণ শিক্ষা বোর্ড (৯টি):
▪ মোট পরীক্ষার্থী: ১৪,৯০,১৪২ জন
▪ ছাত্র: ৭,০১,৫৩৮ জন
▪ ছাত্রী: ৭,৮৮,৬০৪ জন
▪ কেন্দ্র: ২,২৯১টি
▪ প্রতিষ্ঠান: ১৮,০৮৪টি
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড:
▪ মোট পরীক্ষার্থী: ২,৯৪,৭২৬ জন
▪ ছাত্র: ১,৫০,৮৯৩ জন
▪ ছাত্রী: ১,৪৩,৮৩৩ জন
▪ কেন্দ্র: ৭২৫টি
▪ প্রতিষ্ঠান: ৯,০৬৩টি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড:
▪ মোট পরীক্ষার্থী: ১,৪৩,৩১৩ জন
▪ ছাত্র: ১,০৮,৩৮৫ জন
▪ ছাত্রী: ৩৪,৯২৮ জন
কর্তৃপক্ষের আশ্বস্ততা:
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির জানান,“আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মনিটরিং টিম এবং প্রতিটি বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সজাগ রয়েছেন।”
সকল পরীক্ষার্থীকে শুভকামনা জানানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সরকার প্রত্যাশা করছে, এবারের পরীক্ষা হবে নিয়মতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ।
পরীক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, নিয়ম মেনে পরীক্ষায় অংশ নিন এবং কোনো প্রলোভনে পা দেবেন না।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে―
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
১২. সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র বা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এবং
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :