ভারতের জি-বাংলার ‘সা-রে-গা-মা-পা’ খ্যাত বাংলাদেশি গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গানের চেয়ে বেশি ব্যক্তিজীবন আর নানা মন্তব্যের কারণে বারবার এসেছেন সংবাদের শিরোনামে। কিছুদিন আগে নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে জানিয়ে মাদককে দায়ী করেন নোবেল। এ মন্তব্যের পর গত ২৭ এপ্রিল মঞ্চে গান পরিবেশনা করতে গিয়ে মাতলামি ও `অসংলগ্ন আচরণ` করতে দেখা যায় তাকে।
তবে এবার নোবেলকে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বারবার নিষেধ করার পরেও মাদক না ছাড়ায় তালাক দেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন সালসাবিল।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, `তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি। `
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, `নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল` এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।
নোবেলের মাদকাসক্তের পেছনে অনেকের হাত আছে বলেও উল্লেখ করেছেন সালসাবিল। যারা সবসময়ই নোবেলের আশেপাশেই থাকে বলেও পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।
সালসাবিল বলেন, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।
নোবেলের আশেপাশে যাদের দেখা যায় তারা মাদক ব্যবসায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে। দরকার হলে নাম বলবেন বলে জানিয়েছেন পোস্টে। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।
মাদক সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে সালসাবিল আরও বলেন, মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :